Baidyanath Jyotirlingam
বৈদ্যনাথ জ্যোতির্লিঙ্গ
বৈদ্যনাথ জ্যোতির্লিঙ্গম মন্দির ‘বাবা বৈদ্যনাথ ধাম’ এবং ‘বৈদ্যনাথ ধাম’ নামে পরিচিত, যা দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গম মধ্যে একটি পবিত্র শিব ধাম। ভারতের ঝাড়খণ্ড প্রদেশের সান্থাল পরগণার অন্তর্গত ‘দেওঘর’ নামক স্থানে অবস্থিত। জ্যোতির্লিঙ্গটি বাবা বৈদ্যনাথ নামক মূল মন্ডপে স্থাপন করে এই মন্দির ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। এই মন্দিরভবনে আরো একুশটি মন্ডপ রয়েছে।
হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, দৈত্য রাজ রাবণ ভগবান শিবের আরাধনা করে এই স্থান থেকে বর প্রাপ্ত হয়ে পরবর্তীতে সেই বর ব্যবহার করে তিনি পুরো জগৎকে দুর্ভোগ থেকে মুক্তি প্রদান করেছিলেন। দশানন তার দশটি মস্তক একের পর এক শিবের উদ্দ্যেশে আহুতি দেন।রাবণের এই আহুতিতে ভগবান শিব পরিতুষ্ট হয়ে সেখানে রাবণকে সুস্থ করতে উপবিষ্ট হন। সেখানে তিনি চিকিৎসকরূপে অর্থাৎ বৈদ্যের মতই আচরণ করেন। এই ঘটনার শ্রুতিতে এই মন্দিরের এরুপ নামকরণ করা হয়।
ইতিহাসঃ
শিবপুরাণ মতে, ত্রেতা যুগে লঙ্কা অধিপতি রাক্ষস রাজা রাবণের ধারণা ছিল যতক্ষণ পর্যন্ত মহাদেব(পরমেশ্বর শিব) সেখানে সদা বিরাজমান থাকবেন ততক্ষণ তার রাজধানী সম্পূর্ণরূপে শত্রু মুক্ত থাকবে। তাই তিনি সর্বক্ষণ শিবের ধ্যানে মগ্ন থাকতেন। ভগবান শিব চূড়ান্তপর্যায়ে এসে তুষ্ট হয়ে এবং আত্মলিঙ্গম রূপী শিবকে লঙ্কায় নিয়ে যাওয়ার অনুমতি তাকে প্রদান করেন। মহাদেব তাকে উপদেশ দিলেন যেন সে সই লিঙ্গম কে কারো হাতে যেন স্থানান্তর না করে অথবা কোন স্থানে যেন সে না রাখে। তার লঙ্কা গমনকালে যেন কোন বিরতি না হয়।তিনি যদি যাত্রাকালে সেই লিঙ্গম কে কোনো স্থানে ধরিত্রীতে স্থাপন করেন, তাতে সেই লিঙ্গম সেখানেই স্থায়ীভাবে স্থাপিত হয়ে যাবেন। রাবণ আনন্দের সাথে লঙ্কার অভিমুখে রওনা করলেন।
অনান্য দেবতারা পরিকল্পনা করতে শুরু করলেন, যদি পরমেশ্বর শিব লঙ্কাইয় রাবণের সাথে গমন করেন রাবণ সকলের অজেয় হয়ে যাবে এবং তার আসুরিক এবং অবৈদিক কার্যের মধ্য দিয়ে সে সৃষ্টি তথা পৃথিবীকে ভয় প্রদর্শন করবে। তারা উনারা ভগবান শিবকে তার সংরক্ষক রুপে দেখতে কেউ আগ্রহী নন। তাই তাঁরা প্রতারণার দ্বারা রাবণকে প্রতিহত করার চেষ্টা করল।রাবণের কৈলাস পর্বত থেকে ফেরার পথে পাকস্থলীকে পূর্ণ করার জন্যে জল দেব বরুণকে তারা অনুরোধ করলেন।
তাই ফেরার পথে রাবণের প্রশ্রবনের গুরুতর উদ্দীপনা দেখা দিল। তাই তিনি সেখানে একজন ব্যক্তির সন্ধানে লাগলেন, যে ব্যক্তির নিকট লিঙ্গমটিকে সাময়িক ভাবে হস্তান্তর করতে পারেন। শ্রীগণপতি ব্রাহ্মণ রূপে রাবণের সম্মুখে উপস্থিত হলেন। এই ব্যপারে অনভিজ্ঞ হয়েই রাবণ ব্রাহ্মণরুপী গণপতির হাতে লিঙ্গম স্থানান্তর করেন।দুর্ভাগ্যবশত, রাবণ নিজেকে খুব তারাতারি নিজেকে সহজাবস্থায় নিয়ে আসতে পারেন নি। তখন ব্রাহ্মণ মৃত্তিকার উপর সেই লিঙ্গম স্থাপন করেন এবং বর্তমানে সেই স্থানটিই ‘বৈদ্যনাথধাম’ নামে পরিচিত। রাবণ সেই লিঙ্গম-কে সেখান থেকে স্থানান্তর করেন কিন্তু তিনি লিঙ্গম কে ইঞ্চি পরিমাণও স্থানান্তরে সক্ষম হন নি। এই ঘটনা তাকে প্রত্যাহত করে। তিনি হিংস্র মনোভাব নিয়ে সেই লিঙ্গমকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা চাপ দিয়ে স্থানান্তর করতে গিয়ে লিঙ্গম ক্ষতিগগ্রস্থ হয়। তিনি তার কৃতকর্মে অপরাধবোধ করেন এবং তার জন্য তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। রাবণের প্রাসাদে শিব লিঙ্গম নিয়ে যেতে অক্ষম হয়েছেন এই জেনে দেবতারা আনন্দিত হন। তিনি লঙ্কায় ফিরে যান এবং পূজার উদ্দ্যেশে প্রত্যহ সেখানে আসতেন। এইরুপ ঘটনা প্রতিদিনের জন্য অব্যাহত থাকে। বৈদ্যনাথধামের চার মাইল উত্তরে বর্তমান ‘হরিলাজরি’ নামক স্থানে রাবণ পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছিলেন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। বর্তমান দেওঘর নামক স্থানে লিঙ্গম স্থাপিত এবং তা এখন ‘বৈদ্যনাথ জ্যোতির্লিঙ্গম’ নামে পরিচিত।প্রথানুসারে লিঙ্গম রাবণের মৃত্যুর পর থেকেই অনাদৃত অবস্থায় ছিল যতক্ষণ পর্যন্ত না সেখানে বাইজু নামে এক দুর্ধর্ষ শিকারীর আগমন ঘটে। সে বৈদ্যানাথ কে তার প্রভু হিসেবে গণ্য করে এবং তা প্রত্যহ পূজা করতে থাকে এবং পৃথিবীর কাছে দাবী করে যে তিনি হচ্ছেন এই বাইজুর সৃষ্টিকর্তা(বৈদ্যনাথ)।
মন্দিরের বিরবণঃ
এই মন্দির ভবনে বিভিন্ন দেব দেবীর ২২ টি মণ্ডপ আছে তন্মধ্যে পরমেশ্বর ভগবান শিবকে প্রধান বলে মান্য করা হয়। আধুনিক ধারণা অনুযায়ী এই মন্ডপগুলি নতুন এবং পুরানো গড়নে তৈরীকৃত। পরমেশ্বর শিবের মন্দির, বৈদ্যনাথ পূর্বদিক অভিমূখী এবং ৭২ ফুট উঁচু, এবং এর আকৃতি পদ্মের ন্যায়।ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী এই মন্দিরটি স্থাপত্য কলার দেবতা বিশ্বকর্মার দ্বারা তৈরী করা হয়েছে। এই মন্দিরের তিনটি অংশ। যথাঃ- মূল মন্দির, মন্দিরের মধ্যভাগে মূল মন্দির এবং মূল মন্দিরের প্রবেশ দ্বার। মূল মন্দিরের স্থাপনা কাল ঐতিহাসিক তারিখগুলোকেও অতিক্রম করে।রাজা রামচন্দ্র অয্যোধার রাজা থাকা অবস্থায় এই মন্দিরে দর্শনার্থীর আগমন ঘটত। মন্দিরের উপরিভাগ স্বর্ণের দ্বারা নির্মিত তিনটি পাত্র অভেদ্যভাবে স্থাপিত যা ‘গিধৌর’ এর মহারাজা রাজা পুরাণ সিংহ দান করেছেন। এই সকল পাত্রের পাশে ‘পঞ্চশুল’ রয়েছে যা পাঁচটি ছুড়ির দ্বারা ত্রিশুলের ন্যায় স্থাপিত যা সাধারণত দুষ্প্রাপ্য। ভিতরের দিকের শীর্ষভাগে আট পাপড়ি বিশিষ্ট পদ্ম মনি রয়েছে যা চন্দ্রকান্তমনি নামে পরিচিত। মূল লিঙ্গমটি খুবই দুর্লভ। মন্দিরের উত্তরের বারান্দার পূর্বপ্রান্তে যে জল এবং দুগ্ধ অভিষেকের জন্য অর্পণ করা হয় তা ধারণ করার জন্য একটি বৃহদাকারের পাত্র রয়েছে।লিঙ্গমটি সিলিন্ডার আকৃতির যা ৫ ইঞ্চি ব্যাসের ব্যাসাল্টের বড় স্ল্যাবের কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪ ইঞ্চি ব্যাসের একটি প্রকল্প। লিঙ্গমটি মাটির কতটুকু গভীর থেকে স্থাপন করা হয়েছে তা কল্পনা করা সম্ভব নয়।
লিঙ্গমের উপরিভাগ ভগ্ন এবং বিভিন্ন স্থানে অসমপৃষ্ঠ পরিলক্ষিত হয়। এই মন্দিরের বিভিন্ন জায়গায় বারান্দা আছে।লিঙ্গম যেখানে স্থাপিত সেই ঘড়টিতে একটি বারান্দার শেষপ্রান্ত এসে মিলিত হয়েছে।দ্বিতীয় বারান্দা এসে মিলিত হয়েছে ব্যসাল্টের তৈরী সারি সারি সম্ভের ব্লকের সাথে যার ডান পার্শ্বে রয়েছে বেলেপাথরের তৈরী বৃষের প্রতিকৃতির।
প্রত্যেক মন্ডপের ছাদের সাথে ঘণ্টা সংযুক্ত করা আছে, যেন প্রত্যেকে আরাধ্য দেব দর্শনের জন্য আগমনের সময় ঘণ্টা বাজিয়ে তাদের আগমন বার্তা তাদের আরাধ্য দেবকে জানাতে পারেন। এই মন্দিরে আরো এগারটি মন্ডপ রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে মা পার্বতী, মা কালী,মা জগৎ জননী, কাল ভৈরব এবং লক্ষ্মী নারায়ণের মন্ডপ।মা পার্বতীর মন্ডপটি মূল মন্দিরের পাশে রয়েছে, যাকে একটি মোটা লম্বা লাল সুতা দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে যা অদ্বিতীয় এবং অনন্য একই সাথে শিব এবং পার্বতীর অভেদকে প্রকাশ করে।
অবস্থানঃ
বৈদ্যনাথ মন্দির থেকে সবচেয়ে নিকটবর্তী রেলওয়ে স্টেশন হলো জসিধি রেলওয়ে স্টেশন যা ৭ কি. মি. দূরে অবস্থিত। জসিধি হাওড়া অথবা শিয়ালদহ রাস্তা থেকে ৩১১ কি.মি. দূরে অবস্থিত।সাধারণত বৈদ্যনাথ জ্যোতির্লিঙ্গমের পূজা শুরু হয় ভোর চারটা থেকে। মন্দিরের দরজা তখন খোলা হয়। মন্দিরের পূজারী ভোর চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটা ভেতর ষড়োষপোচারে পূজা করেন। স্থানীয় লোকেরা এই পুজাকে সরকারী পুজা বলে থাকেন। তারপর ভক্তেরা শিবলিঙ্গম পুজা করে থাকেন। এই মন্দিরের সবচেয়ে সুন্দর প্রথা এই যে মন্দিরের পুরোহিত শিবলিঙ্গমে প্রথম ‘কুচ্ছ জল’ দ্বারা অভিষেক করেন তারপর ভক্তেরা ফুল ও বিল্বপত্র লিঙ্গমে অর্পণ করেন। পূজা করার বিধি এরূপ সাড়ে তিন ঘটিকা পর্যন্ত চলে। এরপর মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়। সন্ধ্যা ছয়টা ঘটিকার দিকে পুনরায় আবার মন্দিরের দরজা খোলা হয় এবং পুনর্বার দর্শনার্থী এবং ভক্তরা পূজা বিধি আরম্ভ করেন।এই সময় শৃঙ্গার পূজা হয়ে থাকে। সাধারণত নয় ঘটিকায় মন্দিরের পূজা সমাপ্ত হয়ে যায় কিন্তু পবিত্র শ্রাবণ মাসে সময় সীমা বৃদ্ধি করা হয়।
এখানে ভক্তরা নিজে জ্যোতির্লিঙ্গমকে অভিষেক করিয়ে পরিতুষ্ট হন যা তারা সোমনাথ অথবা রামেশ্বরম্ অথবা শ্রীশৈলম্ করতে পারেন না। যারা বিভিন্ন ধরনের পূজা ভক্তদের জন্য করে থাকেন তারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তাদের একটি সম্মেলন হয়ে থাকে যার নাম ‘ধর্মরক্ষীনী’ যার উদ্যক্তা হলেন যুগান্তকারী ব্যক্তি পন্ডীত শিবরাম ঝাঁ। ভক্তের মন্দিরে ভোগ দেয়ার জন্য পেড়া ব্যবহার করেন যা বাবা ধামে পাওয়া যায়।‘পেড়ার’ জন্য দেওঘর প্রসিদ্ধ। বাবাধামের একটি নিয়মিত ও সুবিন্যস্ত অফিসে থাকে যেখানে উপহার এবং দান গ্রহণ করা হয়।
মৎসপুরাণে এই স্থানটিকে ‘আরোগ্য বৈদ্যনাথিতে’ নামে চিহ্নিত করা হয়, যে পবিত্র স্থানে শক্তি শিবের সহিত থেকে, মানবদের দুরারোগ্য ব্যধি থেকে মুক্তি প্রদান করেন।মহারাজ গিধৌরের সংগ্রহশালায় ‘মদন মাধবী’ নামের পান্ডুলিপিতে গিধৌর রাজ এর রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক তথ্য লিপিবদ্ধ রয়েছে। সেখানে বাবাধাম সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে।সম্পূর্ণ দেওঘর নামক স্থান রাজা গিধৌর এর রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং তিনি খুব ঘনিষ্ঠভাবে এই মন্দিরের সাথে জড়িত ছিলেন। রাজা বীর বিক্রম সিংহ এই রাজ্যের সন্ধান পান ১২৬৬ সালে। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে ইষ্ট ইন্ডিয়ান কোম্পানীর অফিসারেদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয় এই মন্দিরের উপর।কিটিং নামক এক ইংরেজ ব্যক্তি কিটিং-কে পাঠানো হয় এই মন্দির প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করার উদ্দ্যেশে।মন্দিরের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যপারে প্রথম আগ্রহ দেখান বীরভূমের প্রথম কর সংগ্রাহক ইংরেজ ব্যক্তি মিষ্টার কিটিং। ১৭৮৮ খ্রীষ্টাব্দে মি. কিটিং এর আদেশে সহাকারী মি. হেসিলরিগ প্রথম ব্যক্তি ছিলেন যিনি প্রথম সেই পবিত্র শহরে বেড়াতে যান এবং সেখানকার তীর্থযাত্রীদের প্রদানকৃত উপহার এবং বকেয়ার হিসাব নিজ তত্ত্বাবধানে পরিচালনা করেন।পরবর্তীতে মিষ্টার কিটিং যখন বাবাধাম দর্শন করতে যান, তিনি সরাসরি হস্তক্ষেপ নীতি পরিত্যাগ করতে বাধ্য হন।তিনি তখন এই মন্দিরের সম্পূর্ণ দ্বায়িত্য প্রধান পুরোহিতের হাতে হস্তান্তর করেন।
শ্রাবণ মেলাঃ
এই মন্দির দর্শনের জন্য লাখো তীর্থযাত্রীদের আগমন ঘটে। হিন্দু পঞ্জিকানুযায়ী জুলাই এবং আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় , এই স্থান শ্রাবণ মেলার জন্য বিখ্যাত।প্রতি বছর ৭-৮ লক্ষ্য দর্শনার্থীরা বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন বৈদ্যনাথ দর্শনে । দেওঘরের প্রায় ১০৮ কি.মি. দূরে অবস্থিত সুলতানগঞ্জ নামক স্থান থেকে গঙ্গার জল বহন করে নিয়ে সেই জল দিয়ে এই জ্যোতির্লিঙ্গমকে অভিষেক করেন।
সেই পানি ‘কান্ববারিয়াস’ দ্বারাও আনয়ন করা যায়, যিনি সেই পানি কাবাডিতে ভরে সম্পূর্ণ রাস্তা পায়ে হেঁটে অতিক্রম করেন। পথিমধ্যে অসংখ্য মানুষ পাওয়া যায় যারা জল বহন করে চলেছেন।
জল কানবারিয়ার দ্বারাও বহন করা হয়ে থাকে, যারা কাবাডি দিয়ে জল বহন করেন এবং পুরোটা রাস্তা তারা পায়ে হেঁটে পাড়ি জমান।এখানে আপনি রাস্তা জুড়ে পাবেন মানুষের জনসমাগম যারা জল নিয়ে পথ পারি দিচ্ছেন। সারা মাস ব্যাপী জাফরানি রঙের কাপড় পরিধান করা মানুষের ১০৮ কি.মি. রাস্তায় তৈরীকৃত লম্বা লাইন পরিলক্ষিত হয়।এসকল ভক্তদের ‘ডাক বাম’ বলে ডাকা হয়ে থাকে এবং এরা তাদের পদযাত্রা ততক্ষণ পর্যন্ত সমাপ্ত হয়না যতক্ষণ পর্যন্ত এরা সুলাতানগঞ্জ থেকে ভাগলপুর জেলার বৈদ্যনাথ মন্দিরে পৌছে যান। তীর্থযাত্রীরা পরবর্তীতে বাসুকীনাথ মন্দির দর্শন করতে যান।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন